শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
জানিনা পৃথিবীর বুকে কেন এতো হাহাকার? কেবলি শুনি দুঃখিদের করুন চিৎকার।
সময় টা খারাপ নাকি মানুষ গুলো। মানুষ কেন মানুষ লোভী হয়৷ মানুষের মাংসের স্বাদ মানুষ নেয়। মানুষের মাংসের স্বাদে যারা তৃপ্তি মেটাই আর যাই হক তারা মানুষ নয়। কেবলি তারা চেহারায় মানুষ। আচরণে তারা হিংস্র পশু।
অন্ধকারে যারা যে মেয়ে শরীরের স্বাদে নিজেদের তৃপ্তি মেটাই তারা আর যাই হক মানুষ নই।
বয়স খুব বেশি হলে পনেরো বছর। কি বা তার অপরাধ ছিলো ? অপরাধ এটাই যে সে মেয়ে।
স্কুল জীবন শেষ করে কলেজে ওঠেছে সে।
বাবা মারা গেছে এরি মাঝে। মা,মেয়ের সংসার। মাথায় ছাতা নেই বললেই চলে। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে৷
তবুও সে মেয়েটি কলেজে যায়৷ আর সে সুযোগ নিতে কেউ ভুলে না।
সে যে অমৃত। যাকে ভোগ করার তীব্র ইচ্ছে সবার মনে৷
এভাবেই চলতে থাকে। মেয়েটি রোজ নিজেকে বাঁচিয়ে ফিরে সেই মানুষ রূপী জানোয়ার গুলোর হাত থেকে।
কিন্তু কি আর করার কতদিন ই বা নিজেকে বাঁচাবে!
একটা সময় চলে আসে মা প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ। তাই ছেড়ে দেয় পড়ালেখা। কাজ নেই অন্যের বাড়িতে।
দু একদিন ভালোই কাটলো। কিন্তু তার পরে নেমে এলো অভিশাপ। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বাঁধা, কাজের বাড়িতেও সে লালসার দৃষ্টি। কতজনকে সে এড়িয়ে চলতে পারে। আর এরি মাঝে তার মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
কিন্তু টাকা নেই। অনেক টাকার প্রয়োজন। কি আর করার নিজেকে বিক্রি করে দেয়। চলে আসে পতিতালয়ে।
সেখানে সবাই মেয়ে মানুষের মাংসের স্বাদে তৃপ্তি মেটাই। প্রতিদিন, প্রতিরাত কেবল তাদের সেই ঘরে আনাগোনা। সেই পশু গুলি ভুলে যায় পৃথিবীর সুখ লালসার মোহে। মাতাল হয় ঝাপিয়ে পড়ে তার ওপরে। টাকা ওরাই খাটে। আছড়ে ফেলে শরীর, ছিড়ে খাই মাংস ,লন্ড ভন্ড করে মাংশ পিন্ড। মেয়ের করা আছে কি সে তো শেয়াল,কুকুরের খাদ্য। সে আড়ালে চোখের জল ফেলে। কোনো লাভ হয়না তাতে।
তারা যে নেশায় আসক্ত। কেবলি নারীর নেশায় আসক্ত।
এভাবেই দিন কেটে যায়। সবাই আসে তৃপ্তি মেটাই চলে যায় কুকুরের মতো ছিড়ে খেয়ে৷ হঠাৎ মেয়েটার মা মারা গেলো।
মেয়েটি শুনতে পেলো খবর। কিন্তু পশুদের হাত থেকে ছাড়া পেলো না সে রাতটাও সে মন খুলে কাঁদতে পারলো না।
পশুদের খাদ্য যোগাতে সে রইল ব্যাস্ত হয়ে।
রাতের আঁধার কেটে গেলো। নতুন সূর্যের উদয় হলো । আর মেয়েটিও আঁধারে মিলিয়ে গেলো। পড়ে রইলো তার উ ল ঙ্গ শরীর।
আর তা থেকে কেবলি একটা শব্দই ভেসে এলো
আমিও রক্ত মাংসের মানুষ।
সম্পাদনায়ঃ সোয়েব মোহাম্মাদ